সিজার বা নরমাল যেকোনো ডেলিভারিতেই প্রসবের পরে বাচ্চাকে স্ক্রিন টু স্কিন কন্টাক্ট এর কথা বলা হয় এবং এটা খুবই জরুরী। অনেকে একে ক্যাঙ্গারু কেয়ারও বলে।
মূলত যেটা করা হয় বাচ্চাকে মায়ের খালি বুকের উপরে দেয়া হয় যাতে মায়ের ত্বক এবং বাচ্চার ত্বক একটা একটা স্পর্শ করে। এর কয়েকটা ভালো দিক আছে
১। মায়ের মধ্যে বন্ডিংটা স্ট্রং হয়
২। এই স্ক্রিন টু স্ক্রিন স্পর্শের ফলে মায়ের মধ্যে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয় যেটা বুকের দুধ নামতে সহায়তা করে
৩। জন্মের পর বাচ্চা নিজের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে জানে না, এই কন্টাক্ট এর মাধ্যমে শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জন্য সহজ হয়
৪। গর্ভের সংকুচিত পরিবেশ থেকে বাঁচা বের হয়ে এসে ট্রেস ফিল করে মায়ের ত্বকের স্পর্শে সেটা কমে যায়
৫। বাচ্চার ত্বকের স্পর্শে মায়ের শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরিত হয় যেটা মায়ের ব্যথার অনুভূতিকে কমিয়ে দেয়
সিজারিয়ান বেবির ক্ষেত্রে বাচ্চাকে সাথে সাথে মায়ের বুকে দেয়ার প্র্যাকটিসটা জেন্টল সি-সেকশন (Gentle C-section) এর একটা অংশ।
যদি নিশ্চিত থাকেন আপনার সিজারিয়ান সেকশন হবে, তাহলে আপনার জন্য কয়েকটা টিপস
১। আপনার ডাক্তার বা মিডওয়াইফকে আগে থেকে জানিয়ে রাখবেন যে বেবিকে বের করার সাথে সাথে যেন আপনার বুকে দেয়া হয়
২। আপনি যদি সে অবস্থায় বাচ্চাকে ধরে রাখার মত যথেষ্ট শক্ত না হন আপনার পাশে থাকার কোন আয়া বা আপনার হাসবেন্ড যেন আপনাকে হেল্প করে
৩। আপনি শোয়া অবস্থায় কিংবা আধা শোয়া অবস্থাতেই এটা করতে পারবেন
৪। প্রথমবার মুখে দেয়ার সাথে সাথে আপনি বাচ্চাকে ব্রেস্ট অফার করতে পারেন
৫। কতক্ষণ বেবি আপনার বুকে থাকবে এটার কোন টাইম লিমিট নাই যতক্ষণ আপনি এবং বাচ্চা আরাম বোধ করবেন ততক্ষণ রাখা যাবে
মূল বিষয় হলো আপনার ডাক্তার বা মিডওয়াইফ কতটা সহায়ক