প্রেগনেন্সির একেবারে শেষের দিকে আছেন এরকম একজন মা জানতে চেয়েছেন, "ডাক্তারকে উনি কী জিজ্ঞাসা করবেন?"
আপাতদৃষ্টিতে বেশ নীরিহ একটা জিজ্ঞাসা। কিন্তু যেটা চোখে পড়লো, উনি জানেন না ওনার কী প্রশ্ন করা উচিত, কারণ কী জানেন না সেটাই সম্ভবত ওনার জানা নেই।
প্রিনেটাল কোর্সের একটা ক্লাসের টপিক এরকম: লেবার ও বার্থে প্রত্যাশা।
লেবারের বিভিন্ন স্টেজে থাকা গর্ভবতী নারীর শরীর ও মনে কী কী ঘটে, কীভাবে সেগুলো ম্যানেজ করতে হয় সেটা নিয়ে এই ক্লাসে আলোচনা করেেন কোর্স ইন্সট্রাক্টর আফিফা রায়হানা। ১ ঘন্টার বেশি এই বিষয়ে কথা বলেন আফিফা, আলোচনা করেন Early labor, Active Labor, Transition, লেবারের ৩টা স্টেজ, কীভাবে সহজতর লেবার অর্জন করা যায়, শরীর ও মনের প্রস্তুতি এসব বিষয়ে। ক্লাস শেষে স্টুডেন্টরা নানা দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্ন করেন, উত্তরও পেয়ে যান সাথে সাথে।
বরাবরের মতো আমরা যেটা ফোকাস করি, জানা ও না জানার মাঝে পার্থক্যের কথা।
গর্ভবতী মা যদি নাই জানেন তার অধিকার কী, তার বাচ্চা কী deserve করে, তাহলে তিনি কীভাবে সেই অধিকার আদায় করবেন? খুব সম্ভাবনা থাকে তিনি ট্রমাটাইজড একটা বার্থ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন, যেটার কথা উনি ভুলে যেতে চাইবেন।
অথচ আপনি সারাজীবন এই অভিজ্ঞতা লালন করবেন, অন্যের সাথে সুখস্মৃতি হিসেবে শেয়ার করবেন এমনটাই হওয়ার কথা ছিলো।
৪০ সপ্তাহের প্রেগনেন্সি নিয়ে আমাদের ০৮ সপ্তাহের কোর্স, যেখানে ১৬টা ক্লাসে সবিস্তারে আলাপ হবে - এটাই মাতৃত্ব প্রিনেটাল কোর্স।
আগাগোড়া এভিডেন্স বেইজড একটা কারিকুলাম। কোন মনগড়া কথা, অপ্রয়োজনীয় ও সংশ্লিষ্টতা নেই এমন কোন বিষয়ে কথা হবে না এই কোর্সে।
আপনি কোন কিছু জানেন না, এটা সমস্যা না, কারণ আপনি না জানার ব্যাপারে অবগত আছেন এবং জানতে সক্রিয়।
নিজের অজ্ঞতা নিয়ে অসচেতন মানুষ না নিজেকে হেল্প করতে পারে, না অন্য মানুষ তাঁকে হেল্প করতে পারেন।
অধিকার সম্পর্কে অসচেতন মানুষ অধিকার-বঞ্চিত থাকবেই।